Economy Finance

DLF গ্রূপের ১৭০ কোটি দিয়ে কি CBI তদন্ত থেকে নিস্তার ?

দুর্নীতির অভিযোগে পাল্টা নিশানা বিজেপি কে। উত্তরের অপেক্ষায় সকলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফিরে দেখতে হবে হরিয়ানা পুলিশ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিএলএফ-সহ কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুগ্রামে জমি দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলা করেছিল । আর এই নিয়ে বিজেপি – কংগ্রেস বাগযুদ্ধে চূড়ান্ত সরগরম হয় দেশের রাজনীতি , হাই কোর্টে রাজ্যের ওই অবস্থান সামনে আসতেই বঢরা সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই মামলা করা হয়েছিল। বিপাকে পড়ে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এখনও কোনও অভিযুক্তকেই ছাড় দেওয়া হয়নি।এখানেই প্রশ্ন উঠছে CBI তদন্তের রিপোর্ট দিলোনা কেন ?

এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে যে ২০১২ সালের ওঠা অভিযোগ প্রিয়াঙ্কা বঢরা স্বামীর বিরুদ্ধে , কিন্তু অবাক কান্ড এই সব তদন্ত প্রক্রিয়া থেমে যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সামনে আসতে দেখা গিয়েছে, ২০১৯-এর অক্টোবর থেকে ২০২২-এর নভেম্বর পর্যন্ত দফায় দফায় বিজেপিকে বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছিল ডিএলএফ গ্রুপ। অবাক কান্ড এত দিন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিজেপির তাবড় নেতারা , আর সেই সব কোম্পানির থেকেই টাকা নিয়েছেন নির্বাচনি বোনদের মাধ্যমে। ডিএলএফ কমার্শিয়াল ডেভেলপার্স লিমিটেড, ডিএলএফ গার্ডেন সিটি ইন্দোর প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডিএলএফ লাক্সারি হোমস লিমিটেড। সমস্ত বন্ডই পেয়েছিল বিজেপি। যার মোট আর্থিক মূল্য ১৭০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে অনেকেই বলছেন টাকার জন্য তদন্ত থেমে গেছে।

ডিএলএফ মূলত হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে নির্মাণ ব্যবসায় যুক্ত, এছাড়া ভারতের অনেক জায়গায় এই কোম্পানির কাজ রয়েছে । ২০১২ সালে এই সংস্থার বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর পরেই হরিয়ানা সরকার পদক্ষেপ করে। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে হরিয়ানার ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা (কংগ্রেস) মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয়েছে। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে বঢরা, হুডা, ডিএলএফ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা-সহ দুর্নীতিরোধী আইনে একাধিক মামলা করা হয়। কিন্তু এই মামলা যদিও এখনো চলছে তবুও তাদের থেকেই বন্ডের মাধ্যমে টাকা এসেছে বিবিজেপির কাছে।

১) DLF কোম্পানি কি স্বইচ্ছায় এই বন্ডে ১৭০ কোটি টাকা দিলেন ?

২) DLF কোম্পানি যে অভিযোগে জড়িত তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই কেন ?
৩) কে এই কোম্পানির সাথে প্রাথমিক ভাবে যোগাযোগ রাখতেন বিজেপির পক্ষে ?

৪) ২০১৪ সালে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে DLF কোম্পানি নিয়ে উঠা অভিযোগ কি নিস্পত্তি হয়েছে ?

৪) একটি সর্বভারতীয় দল যারা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা কেন জানতে চাইলেন না, কেন DLF কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করলেন
১৭০ কোটি দেবার ?

৫) ডিএলএফ গ্রুপের তিনদি কোম্পানি এই বন্ডে ১৭০ কোটি টাকা দিয়েছে বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির থেকে তার বিনিময়ে কি সুবিধে পেলেন DLF কোম্পানি?

৬) ২০১২ সালে বঢরা ও ডিএলএফ সংস্থার মধ্যে জমি লেনদেনে যদি কোনো কিছু না পায়, তাহলে বিজেপি কেন তাহলে ২০১৪ সালের তদন্তকে প্রচারে এটাকে হাতিয়ার করলো ন ?
৭) CBI এর তদন্তের রিপোর্ট আদালতে কেন পেস হল না ?

বলাই যেতে পারে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এই প্রশ্ন উঠলে বেশ অস্থিতে পড়বে মোদী ব্রিগেট ইটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই প্রোপাগান্ডা কে সামনে আনতে রাজ্ নয় গোদিমিডিয়ার একটা বড় অংশ।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading