এবার বন্ধ রইলো ‘অনলাইন শপিং’-ও।
ই-কমার্স জায়েন্ট ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো সংস্থাগুলি বন্ধ রইলো বেশকিছু দিনের মতো।
পল্লবী : করোনার হাত থেকে বাঁচতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনো। সামনেই আসছে পয়লা বৈশাখ, আসছে চৈত্রসেল
এইসব দিনে কম দামে ভালো জিনিস কেনার ধুম পরে যায়। তবে এবার কেনা-কাটার জন্য ভরসা ছিল একমাত্র অনলাইন। কিন্তু এবার তাও বন্ধ হয়ে গেছিলো।
এই পরিস্থিতিতে বিকিকিনি বন্ধ রাখল দেশের ই-কমার্স জায়েন্ট ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের (Amazon) মতো সংস্থা। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, আগামী বেশ কিছুদিনের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে অনলাইনের বিকিকিনি। সেলারদের থেকে কোনও প্রোডাক্টই পিকআপ করা হবে না। যা পুরনো অর্ডার রয়েছে তাও বাতিল করা হচ্ছে। কারণ এখন আর ডেলিভারি স্লট ফাঁকা নেই। কেননা মারণ রোগ করোনাকে ঠেকাতে সমস্ত রাজ্য লকডাউন হয়েছে। প্রোডাক্টের সেলাররাও ওয়্যার হাউস বন্ধ করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহককে পছন্দের জিনিস পৌঁছে দেওয়া অসম্ভব। তাই আপাতত অনলাইন বিকিকিনি বন্ধ করা হল।
অ্যামাজন ইজি শিপের মতো সমস্ত পরিষেবা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। এই তালিকায় সেলার ফ্লেক্স ও ফ্লিপকার্ট রয়েছে। একই অবস্থার সম্মুখীন হয়ে বিকিকিনিতে ইতি টেনেছে স্ন্যাপডিল। করোনার আতঙ্কে বাজারে লকডাউন। দোকানে গিয়ে খাবারের সংস্থান করতে না পেরে অনেকেই বিগ বাস্কেটের উপরে ভরসা করেছিলেন। এত গ্রাহকের চাপে এই অনলাইন সংস্থার সাইট ক্রাশ করে গিয়েছে। এত গ্রাহককে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই নতুন গ্রাহকের অ্যাকসেস উড়িয়েছে বিগ বাস্কেট। যাঁরা নিয়মিত গ্রাহক এখন তাঁদেরকেই আনাজ মশলাপাতি সরবরাহ করছে। এক বিবৃতিতে বিগ বাস্কেট জানিয়েছে, “আমরা বর্তমানে এত গ্রাহকের চাপ ও চাহিদা সামলে উঠতে পারছি না। তাই ওয়েবসাইটটি শুধু পুরনো গ্রাহকদের জন্যই খোলা আছে। অনুগ্রহ করে কিছুক্ষণ পরে চেষ্টা করুন।”