Economy Finance

সারা বিশ্বের অর্থনীতি মন্দার মুখে, জানালেন আইএমএফ (IMF) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা

২০০৯ এর মন্দার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে

প্রেরনা দত্তঃ ২০২১-এ বিশ্ব বাজার মন্দা সামলে উঠতে পারে। কিন্তু সে জন্য সংযম জরুরি ও একই সঙ্গে প্রয়োজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলা। বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীরগতির প্রভাব ভারতে ‘বেশি প্রকট’ বলে মন্তব্য করলেন আইএমএফ প্রধান।শুধু তাই নয়, ভারতের মতো দেশে এই মন্দা যে আরও বেশ কিছুদিন চলবে, তারও পূর্বাভাস দিয়েছেন জর্জিভা।আইএমএফ প্রধান বলেছেন, করোনার জেরে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আর্থিক কাজকর্ম আচমকা সম্পূর্ণ স্থগিত হয়ে পড়ায় শুরু হয়েছে এই মন্দা। এই মুহূর্তে বাজারের দরকার কম করে ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কিন্তু তাতেও কুলোবে না। যে সব দেশের বাজার উঠতির দিকে, তারা গত কয়েক সপ্তাহে ৮৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান খেলেও বেশিরভাগটাই সামলে উঠতে পারবে কিন্তু ঘরোয়া বাজারের অবস্থা ভাল নয়, বিরাট অঙ্কের ঋণও রয়েছে এই দেশগুলির ঘাড়ে। কম উপার্জনক্ষম ৮০-র বেশি দেশ আইএমএফ থেকে জরুরি ভিত্তিতে অর্থসাহায্য চেয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।দু’দিন আগেই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেছিলেন, মন্দার ধাক্কা কাটিয়ে ভারত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। উৎসবের মরশুম পড়তেই অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। কিন্তু এসবিআই চেয়ারম্যানের সেই তত্ত্ব কার্যত খারিজ করে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া আইএমএফ প্রধান বললেন, মন্দার প্রভাব আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশেই ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার আরও নিম্নমুখী হবে। ভারতে সেই হার হবে আরও বেশি নিম্নগতির।

আইএমফ প্রধান বলেন, মন্দার মধ্য দিয়ে, ২০২১-এ পুনরুদ্ধার সম্ভব, যদি সারা বিশ্বে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ক্রিস্টালিনা জর্জিভার কথায়, “আমরা ২০২১ এ পুনরুদ্ধারের প্রকল্প তৈরি করছি। তবে আয়তন অনুযায়ী প্রতিক্ষেপ রয়েছে। আমরা যদি সব জায়গায় ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, লিকুইডিটি সমস্যাকে পরিশোধ ক্ষমতা হওয়া থেকে রোধ করতে পারি”। বর্তমানে ‘স্থিতাবস্থা’ বলে মন্তব্য করেছেন জর্জিভা। একই সঙ্গে বলেন, এই যুদ্ধে ‘সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’। তাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন আইএমএফ প্রধান।

বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কমে নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.১ শতাংশ করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সেই হার নেমে যেতে পারে ০.৩ শতাংশে। কারণ আইএমএফ-এর মতে ‘যা আশা করা গিয়েছিল, তার চেয়েও দুর্বল’ ভারতের অর্থনীতি।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading