সরোবরে নিষেধ ছট পুজো, পুণ্যার্থীদের রুখতে তৎপর কলকাতা পুলিশ

গত দুবছর হয়েছে নিয়ম উলঙ্ঘন, তবে এবারে যোগ হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ

দেবশ্রী কয়াল : চলছে উৎসবের মরশুম করোনা (Corona Virus)আবহের মাঝেও। তবে আর বেশি পূজার উৎসবের বাকি নেই, অপেক্ষা কেবল ছট পুজো (Chat Puja)আর জগদ্ধাত্রী পুজোর। এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টের (Kolkata High Court) সকল বিধি নিষেধ এর নিয়ম মেনেই সকল পূজা সম্পন্ন হয়েছে। আর এবারে ছট পুজোতে রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar)ও সুভাষ সরোবরে (Subhas Sarobar)ছটপুজো করাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত ও কলকাতা হাইকোর্ট। আর আদালতের সেই নির্দেশকে কার্যকর করার জন্যে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি থানাকে।

তবে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করার জন্যে অনুমতি পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেএমডিএ। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে সেই মামলার। বিগত দুবছর ধরে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করেছেন পুণ্যার্থীরা। আর এবার করোনা কালে জাতীয় পরিবেশ আদালতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেরও নির্দেশ। যাতে কোনো প্রকারের সেখানে পূজা না করতে পারেন কেউ দিকেই দেওয়া হচ্ছে জোর।

আর সেই মতই, তত্‍পর রয়েছে কলকাতা পুলিশও (Kolkata Police)। প্রত্যেকটি থানাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এবছর, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো আটকাতে কী কী করণীয়, তা খতিয়ে দেখতে গতকাল মঙ্গলবার সরোবর এলাকা পরিদর্শন করেন ডিসি (সাউথ-ইস্ট) সুদীপ সরকার। সরোবর চত্বরে ঢোকা ও বেরোনোর কতগুলি রাস্তা রয়েছে, থানার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়েও তা ঘুরে দেখেন তিনি বলে জানা গিয়েছে।

এবছরও ছটপুজো আটকাতে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে তালা ঝোলানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন এলাকার কিছু ছোট জলাশয়কেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পরিবেশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তালা তো গত বছরও ঝোলানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও সেই গেট ভেঙে পুণ্যার্থীরা ঢুকে পড়েছিলেন। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে যে তালা ঝোলালেও কী দুই সরোবরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে? তবে প্রত্যেকটি থানা নিজেদের কাজে হচ্ছে তৎপর। এখন দেখার পালা আগামী দিনে মামলার রায় কী বের হয়।

Exit mobile version