বাংলার অবস্থা স্থিতিশীল নয়, তবুও অসুবিধা জানানোর সুযোগ না পাওয়াতে ক্ষোভ সব মহলেই ?
বক্তব্য রাখার তালিকায় নাম নেই পশ্চিমবঙ্গের, কি বলবেন প্রধানমন্ত্রী
পল্লবী কুন্ডু : প্রতি মুহূর্তে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। বেসামাল হয়ে পড়ছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু হাল ছাড়বেনা কেউই।আবারো সকলে একসাথেই লড়বে যাতে এই যুদ্ধ জেতা সম্ভব হয়। আর তাই দেশের পরিস্থিতি সামলানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে মঙ্গলবার এবং বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর কাল বুধবার মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।কালকের বৈঠকেই ডাকা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে। তবে বক্তব্য রাখার তালিকায় নাম নেই পশ্চিমবঙ্গের। কিন্তু কেন ?
এর ফল সরূপ বৈঠকে গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, যদি পশ্চিমবঙ্গকে বলার সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে তিনি বৈঠকে যাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর মহাসচিবের হাতে থাকা বক্তাদের তালিকায় নাম নেই মমতা ব্যানার্জীর। এ প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জি বলেন, “একটা বৈঠকে আমরা গেলাম কি না গেলাম, তাতে কি রাজ্যের ভবিষ্যত্ ঠিক হয়ে যাবে? বাংলা সবসময় সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলে। এমনও হতে পারে যে, একদিন বাংলাই সবাইকে ডাকলো ! হয়তো তাঁরা প্রয়োজন মনে করেননি, তাই ডাকেননি। তার জন্য ঝগড়া করার কোনও কারণ নেই।”
রাজ্যের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি যেখানে অনেকটাই জটিল, সেখানে বৈঠকে বাংলাকে বলার সুযোগ দেওয়া হল না কেন? বাংলার এবিষয়ে অনেক কিছুই বলার ছিল। সেক্ষেত্রে বৈঠকে শুধুমাত্র শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত থাকা অসম্মানজনক। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বলার সুযোগ পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু সেসময় রাজ্যের তরফ থেকে মুখ্যসচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এবার রাজ্যের তরফ থেকে কোনও আধিকারিকই যাননি বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ওরা বড় বড় ব্যাপারে মিটিং করছে। আমরা ছোট ছোট গ্রাসরুটের মিটিং করছি, যা মানুষের কাজে লাগে। অন্য জায়গায় মিটিং আছে বলে আমি সময় নষ্ট করলাম না।”
তাহলে রাজ্য তরফ থেকে যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে , যেখানে বাংলার অবস্থা খুব একটা স্থিতিশীল নয়, সেখানে কেন তাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হলো না ? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো দেশের প্রধানের কাছে রয়ে গেলো। আদৌ উত্তর মিলবে কি ?