আমপান দুর্নীতি নিয়ে এবার নিজেদের স্বীকারোক্তি তৃণমূলের
গতকাল হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি ,তথা মন্ত্রী অরূপ রায় বললেন আমপান ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগে হাওড়া দুই জনপ্রতিনিধি এবং এক নেতাকে দল সাসপেন্ড করলো।
পল্লবী কুন্ডু : ‘রাজনৈতিক দুর্নীতি’ এই গোটা বিষয়টি নতুন নয়।দুর্নীতি যে চলছে তা জনগণ অনুধাবন করতে পারলেও আদতে এই দুর্নীতির মুলে যে কোন দল তা হয়তো খুব সহজে জনগণের সামনে আসেনা। তবে ঐ যে, নিজের স্বার্থে আঘাত আসলেই একে ওপরের সব কথাই নিজেরাই উগরে বের করে দেয় আর সেখানেই রাজনীতির দুর্বলতা। আর এবারে তো আমপান দুর্যোগের পরবর্তী সময়তে ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজ্য সরকারের ওপর বারংবারই দুর্নীতির আঙ্গুল উঠেছে। যতবার উঠেছে ততবারই তুড়ি মেরে সেই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকার তরফ থেকে।
আর এবারেও কি ঠিক তেমনকরেই এই অভিযোগও উড়িয়ে দেবে রাজ্য ? গতকাল হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি ,তথা মন্ত্রী অরূপ রায় এক ঘোষণা তে বললেন আমপান ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি তে দুর্নীতির অভিযোগে হাওড়া দুই জনপ্রতিনিধি এবং এক নেতাকে দল সাসপেন্ড করলো এরা হলেন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ, জগত্বল্লব পুরের পাটিহাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু, ডোমজুরের উত্তর ঝাপড়দহ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূল নেতা সুমন ঘোষাল।
না, এবারে যে নিজের দলের ব্যক্তিদের কথাই স্পষ্ট প্রকাশ করলো তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে তো একথা ঠিক যে রাজ্যের পক্ষ থেকে কিছু তো দুর্নীতি হয়েছেই। এবার আর পুরোপুরি অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই সরকারের। কিন্তু বিরোধী পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে তা হলো, এই স্বীকারোক্তি কিসের ইঙ্গিত ? নিজেদের মহান ঘোষণা করার জন্য নাকি সত্যিই দলে অসৎ ব্যক্তিদের বাদ দিতে চায় সরকার ? তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে দলের একাংশ কিছুটা হলেও দুর্নীতির অংশ !