বর্ণবৈষম্য মূলক মন্তব্যের শিকার হলেন সুনীল ছেত্রী, সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়
দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এভাবে অপমান করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।
প্রেরনা দত্তঃ ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে লাইভ চ্যাটে কথা বলছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তার মধ্যেই এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী সেখানে লেখেন, ‘‘ইয়ে নেপালি কন হ্যায় (কে এই নেপালি)।” সেই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী প্রোফাইলের নাম “yasharma.official”। লকডাউনের মাঝেই দুই অধিনায়ক মুখোমুখি হওয়ায় জমে উঠেছিল রবিবারটা। করোনার চোখ রাঙানি ভুলে নানা মজাদার গল্পে মেতে উঠেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট ও ফুটবলের দুই সেরা তারকা। বিরাট কোহলি এবং সুনীল ছেত্রী। তাঁদের ভিডিও চ্যাট থেকে মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা মজার কাহিনি জানতে পেরেছেন অনুরাগীরা। কিন্তু কয়েনের ঠিক উলটো পিঠের মতোই বিতর্ক মুক্ত রইল না তাঁদের চ্যাটিং। সুনীলের প্রতি এক নেটিজেনের এই বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
একজন টুইটার ব্যবহারকারীই সেই স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যেখানে বিরাট ও সুনীলের লাইভ চ্যাটে সেই ব্যাক্তির মন্তব্যটি রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের ভারতের বিভিন্ন অংশের মানুষদের থেকে এভাবে বার বার শুনতে হয়। যা অনেকেই প্রতিবাদ করেছে। এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লেখেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ককে নেপালি বলা হচ্ছে, কেউ ভাবতে পারছেন এখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের পরিস্থিতিটা কী।” দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এভাবে অপমান করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। ‘‘মানুষ সুনীল ছেত্রীকে চেনে না মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু সমাজ তাদের উদ্দেশে চিঙ্কি, নেপালি ইত্যাদি টেসব মন্তব্য করে তা লজ্জার,” যোগ করেন তিনি।
গত মাসেই উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকদের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল বলে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সুনীল। এবার তিরবিদ্ধ তিনি নিজেই। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মেন ইন ব্লু অধিনায়ক। আর এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘‘বাচ্চাদের শেখানো উচিৎ মানুষ ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য। উত্তর-পূর্ব-র কথা বলা হচ্ছে। যা আরও বেশি মনোযোগ চায়। যা নিয়ে অনেকবেশি সচেতনতা দরকার। দুঃখজনকভাবে আমরা এই সম্পর্কে খুব কম জানি। ইনস্টাগ্রামের সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘‘খুব দুঃখজনক।”