ইউহানে আরও একবার করোনা সংক্রমণ, শহরে এবার ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের হবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা
এত সহজেই করোনা থেকে মুক্তি নেই, বুঝিয়ে দিচ্ছে চীনের পরিস্থিতি
@ দেবশ্রী : কোনোমতেই বিদায় নিচ্ছে না এই মারণ করোনা ভাইরাস। কিছুতেই ঘটছে না শাপমুক্তি। করোনা ভাইরাসের উত্সস্থল চিনের ইউহান শহরে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড-১৯। এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ ইউহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে সকল স্কুল-কলেজ। কিন্তু এবার ফের ওই শহরে ‘করোনা ক্লাস্টার’ মিলতেই দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রশাসনে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তাই এবার শহরের ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রশাসনের তরফে।
মঙ্গলবার চিনের সরকার পরিচালিত একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইউহান শহরের ১ কোটি ১০ লক্ষ বাসিন্দারই নিউক্লেইক অ্যাসিড টেস্ট করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মাধ্যমে কারও শরীরের ডিএনএ বা আরএনএ-তে কোভিড-১৯ ভাইরাস আছে কি না, তা খুঁজে দেখা হবে। ইতিমধ্যে বেজিংয়ের তরফে একটি নোটিস জারি করে ইউহান প্রশাসনকে এই মর্মে পরিকল্পনা করে রাখতে বলা হয়েছে। এর জন্য ১০ দিন সময় নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে কবে থেকে এই পরীক্ষা শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউহানে লকডাউন উঠলেও পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এখন নয়া রিপোর্টে আশঙ্কা করা হচ্ছে, শহরে ফের দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। এমনটা হলে মারণ রোগটিকে কাবু করার এতদিনের চিন সরকারের পরিকল্পনা জোর ধাক্কা খাবে।
গত সোমবার ইউহান শহরের ডংজিহু জেলার একটি আবাসনে পাঁচ করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এপ্রিলের ২৮ তারিখের পর এই প্রথম একদিনে ১৭ জন করনে আক্রান্ত হয়েছেন। তাত্পর্যপূর্ণভাবে, ইউহানে কয়েক হাজার উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রয়েছে। তবে তাঁদের আক্রান্তের তালিকায় রাখে না চিন। এর ফলে আক্রান্তের মোট সংখ্যা নিয়ে আবারও এক বিভ্রান্তি রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত চিনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৯১৮। এই মুহূর্তে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের সরকারি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।