ভোটার মুখে বড় ধাক্কা কেন্দ্র সরকারের : অস্বস্তিতে মোদীর ব্রিগেড !
একদিকে রামমন্দির করে আসন্ন নির্বাচলে এগিয়ে যাওয়া অন্যদিকে নির্বাচনের বড় ধাক্কা ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল হল
সুবীর দে : অনেকদিনের বিতর্ক , সচ্ছতা নিয়ে রাজনৈতিক নির্বাচনের আয়োজনের ক্ষেত্রে অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা এই নির্বাচনী বন্ড। এই বিষয়ে কেন্দ্র করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে , আজ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে, পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। গত বছরের ২ নভেম্বর, শুনানি শেষ হয়েছিল। এদিন, রায় ঘোষণার শুরুতেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান. এই মামলার বিষয়ে দুটি মতামত রয়েছে বেঞ্চে। একটি তাঁর নিজের, অন্যটিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার। তবে, দুজনেই একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
দেখে নেওয়া যাক কী কারণে, ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট?
১) প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, সংবিধানের ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদে, নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি, এই বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করছে।
২) নির্বাচনী বন্ড যারা কিনছে, তাদের পরিচয় গোপন রাখা নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন করে।
৩) শীর্ষ আদালত বলেছে, গোপনীয়তা ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। শুধুমাত্র কিছু কিছু অবদানের পিছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকে বলেই, রাজনৈতিক দলগুলিতে তহবিল প্রদানের ক্ষেত্রে নাগরিকদের গোপনীয়তা অস্বীকার করা ঠিক নয়।
৪) নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালুর জন্য, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং আয়কর আইন-সহ বিভিন্ন আইনে যে সংশোধনীগুলি করা হয়েছিল, সেগুলিকেও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট
৫) এই প্রকল্প চালুর জন্য যেভাবে কোম্পানি আইনের সংশোধন করা হয়েছে, তার সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত। রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে কর্পোরেট অনুদান, সম্পূর্ণরূপে ব্যবসায়িক লেনদেন বলে জানিয়েছে আদালত।
এই বিষয় সুদূর প্রসারী প্রভাব পড়বে নির্বাচনে ও পরবর্তী ক্ষেত্রে। অনেকেই মনে করেন কালো টাকার কারবারিরা নিজেদের বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য এই তহবিল কে ব্যবহার করছিলো। কিন্তু বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ আজ বলেন আমরা নির্বাচনের স্বচ্ছতা আনতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল । ওপর দিকে এই বিষয় নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন অবৈধ্য লেনদেন আটকিয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রমান করলেন দেশে আইন ব্যবস্থা কায়েম আছে।