এতদিন পর হুঁশ ফেরায় আগামী ২ মাসের পরিকল্পনায় বসলো কেন্দ্র
লকডাউন উঠলে নয়া পদক্ষেপ কি হবে ? ভাবছেন মোদী
পল্লবী : সাধারণ মানুষ থেকে বিশেষজ্ঞ প্রত্যেকেই জানতেন যে শুধুমাত্র লকডাউন করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়। আর সে কথাই এতদিন পর বোধগোম্য হলো দেশের প্রধানমন্ত্রীর। তাহলে কি করা উচিত ? লকডাউন উঠলে তাহলে নয়া পদক্ষেপ কি হবে ? সেই সব কিছু নিয়েই আগামী ২ মাসের জন্য পরিকল্পনা শুরু করছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সব মন্ত্রকে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে পরবর্তী পর্যায়ের প্রস্তুতিতে। হঠাত্ করে যাবতীয় বিধি-নিষেধ তুলে দিলে নাগরিকরা সামাজিক দুরত্ব মানবে তো? এই প্রশ্নই এখন সবার উপরে ঘুরপাক খাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। কেন্দ্র সরকারও সেটা নিয়েই চিন্তিত। তাছাড়া সরকার মনে করছে পরিস্থিতির চাপে পড়ে অনিচ্ছা সত্বেও কিছু পদক্ষেপ করতে হচ্ছে, যা কিনা সাধারণ মানুষ পছন্দ করেনি।
আবার দেশের বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর করা যায়নি। এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হল, এবং তার প্রতিক্রিয়া কী? সবার আগে সেটা খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্র। সুত্রের খবর, সেজন্যই সমস্ত মন্ত্রকের সব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা গত ২৪ মার্চ অর্থাত্ লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে কী কী কাজ করেছে তার সম্পূর্ণ হিসেবে দিতে। সমস্ত মন্ত্রক রিপোর্ট জমা দিলে আগামী দিনে কোন পথে এগোনো যাবে, তার রূপরেখা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই কীভাবে অর্থনীতিকে সঠিক রাস্তায় ফেরানো যায় সেই রূপরেখা তৈরি করতে ইতিমধ্যেই একটি ‘টাস্ক ফোর্স’ তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার নেতৃত্বে আছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ । তাছাড়া একটি ‘মন্ত্রীগোষ্ঠী’ লাগাতার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। সুত্রের খবর, এবার সরকারের প্রতিটি মন্ত্রকের কাছে আগামী দু’মাসের জন্য পৃথক ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ চাওয়া হয়েছে। কর্পোরেট প্রেজেন্টেশন আকারে সেই ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ জমা পড়বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। তিনি নিজে সবকটি পরিকল্পনা খতিয়ে দেখবেন। তারপরই ঠিক করা হবে ১৭ মে’র পর কীভাবে এগোনো যাবে।
সময়ের সাথে সাথে করোনা পরিস্থিতি হচ্ছে সঙ্কটজনক। হয়তো আর এক থেকে দেড় দিন পেরোলেই আক্রান্তের সংখ্যা পেরোবে অর্ধশত। এই অবস্থায় গোটা দেশের গুরু দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সময় নিয়ে পরিকল্পনা করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন কারণ ওনার দিকেই তাকিয়ে গোটা ১৩০ কোটি দেশবাসী। একটা ভুল সিদ্ধান্ত কাড়বে লক্ষ্যাধিক প্রাণ। প্রাণ ঝলমলে ভারত পরিণত হবে মৃত্যুপুরীতে।