গর্ভবতী হাতির খুনে গ্রেফতার ১, চলছে বাকিদের তল্লাশি
ফলের মধ্যে আতশবাজি দিয়ে খেতে দেওয়া হয় হাতিকে, আর তাতেই মর্মান্তিক মৃত্যু !
@ দেবশ্রী : মানুষ কিভাবে এত নিষ্ঠূর হতে পারে ? একটি গর্ভবতী হাতিকে মেরে ফেলল। মজা করতে গিয়ে। পালাক্কড়ে আতসবাজি ভরা আনারস খাইয়ে হাতি খুনের ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়েছে গোটা দেশ। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, হাতি খুনে তিন জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বিচারের আশ্বাসও দেন। আজ শুক্রবার এক জনকে গ্রেফতার করা হল। জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী।
বন দফতরের এক অফিসার জানালেন, যে ধৃত ব্যক্তি আতসবাজির জোগান দিয়েছিলেন, তাঁর বয়স ৪০ এর আশপাশে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার টুইটারে জানিয়েছিলেন, ‘তিনজন সন্দেহভাজনকে মাথায় রেখেই এর তদন্ত চলছে। পুলিশ এবং বন দফতর যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। জেলা পুলিশ প্রধান এবং জেলা বন দফতরের প্রধান ঘটনাস্থলে এদিন গেছেন। তিনি বলেন দোষীদের শাস্তি হবেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর টুইটারে জানান, হাতির খুনের তদন্ত হবে। তিনি এও বলেন, আতসবাজি ভরা ফল খাইয়ে মারা ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। বন দফতরের অফিসার মোহন কৃষ্ণনের একটি পোস্টের পর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। মুহূর্তে ভাইরাল হয় সেই পোস্ট। জানা যায়, আতসবাজি ফেটে যাওয়ায় মুখে এবং শুঁড়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। গর্ভবতী ছিল সেই হাতি। কিছু খেতে পর্যন্ত পারেনি। এই অবস্থায় প্রায় ২০ দিন ঘুরে বেড়ায় হাতিটি। তা সত্ত্বেও সে গ্রামে কাউকে আঘাত করেনি। পরে ব্যথা উপশমের চেষ্টায় ভেল্লিয়ার নদীতে শুঁড় ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল মৃত্যুর শেষ পর্যন্ত যাতে তাঁর বাচ্ছাকে কষ্ট না পেতে হয়। এরপর সেখানেই মারা যায় সে।