পরিকল্পনা করেই মা ও মেয়েকে জীবন্ত জ্বালিয়েছিল সাদ্দাম, এখনও মেলেনি কোনো রায়।
ভাঁজ খুলেছে রহস্যের, তবে আরও কেউ লুকিয়ে আছে কী না চলছে তারই খোঁজ।
@ দেবশ্রী : মনে হচ্ছে হয়েছে রহস্য ভেদ। হলদিয়া কাণ্ডে মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে খুন ও দেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পর তার রহস্যভেদ করল পুলিশ। জানা যাচ্ছে, সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবক রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করে মা ও মেয়েকে।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরের বাসিন্দা মৃতা রিয়ার সাথে অভিযুক্ত সাদ্দামের পরিচয় হয় একটি মেসেজ পার্লারে। এরপর তা ক্রমশ প্রণয়ের সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যায়। যদিও পরে তদন্তকারিরা জানতে পারে, অভিযুক্ত মৃতা রিয়ার কাছে সাদ্দাম তার বিবাহের কথা লুকিয়েই সম্পর্কে জড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন তাদের এই সম্পর্ক চলার পর হঠাত্ তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে মৃতার মা রমা।
জানা যায়, এরপরই তাঁদের থেকে রেহাই পেতেই গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি মা ও মেয়েকে খুন করে সাদ্দাম। প্রথমে দুর্গাচকের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে মা-মেয়ের খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই জীবিত অবস্থাতে তাঁদের নদীর পাড়ে নিয়ে এসে নির্মমভাবে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে পাওয়া একটি কানের দুল থেকেই পরিচয় মেলে ও ২ মৃতার।
এরপর তাদের মোবাইল কল লিষ্ট থেকে পাওয়া যায় সাদ্দামের নম্বর। আর সেই সূত্র ধরেই জেরা করা হয় সাদ্দামকে। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, সাদ্দাম ও তাঁর সঙ্গী শেখ মনজিল মিলে এই খুনের ঘটনাটি ঘটায়। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোন কারন আছে কি না তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বা আরও এই গোপনে লুকিয়ে আছে কী না চলছে তারও খোঁজ।