ফল কিনতে বেরিয়ে হেনস্তার শিকার ২ মহিলা চিকিৎসক
যুদ্ধে যোদ্ধাদেরই মার খেতে হবে নিজ দেশবাসীর হাতে,এ কোন সমাজ…
প্রেরনা দত্তঃ সামাজিক দূরত্ব মানে মানসিক দূরত্ব নয়। তাই করোনা আক্রান্ত বা করোনা চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনওভাবেই সমাজে একঘরে করে রাখা যাবে না। বরং কোথাও তেমন হচ্ছে বুঝলে প্রশাসনকে সঙ্গে সঙ্গে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে সমস্ত রাজ্যকে বার্তা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র।
করোনা ভাইরাসকে রুখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাঁরা। কিন্তু তারপরও প্রতিবেশীর হাতে হেনস্তার শিকার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের দুই মহিলা চিকিৎসক। অল্পবিস্তর মারধরও করা হয় তাঁদের। করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সা করায়, দিল্লিতে দুই মহিলা চিকিৎসক কে মারধরের অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার এক।
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে কর্মরত ওই দুই মহিলা চিকিত্সক ফল কেনার জন্য রাতে বাড়ি থেকে বের হন। অভিযোগ, করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সা করায়, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায়, এলাকারই এক ব্যক্তি দুই চিকিত্সককে মারধর করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
সফদরজং হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডঃ মণীশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “ওই দুই মহিলা চিকিৎসক জরুরি বিভাগেই মূলত রোগীদের চিকিৎসা করেন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মরণাপন্ন রোগীদের বাঁচিয়ে তোলার কাজ করে। তারপর তাঁদের উপর অত্যাচার সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।”
সামান্য চোটও পেয়েছেন দু’জনে। স্থানীয়দের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৫৫০ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৭১। করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ১৪ জন। আমেরিকায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।মঙ্গলবারের পর গতকালও সেখানে একদিনে ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু ১৪ হাজার ৭৯৭ জনের। আক্রান্ত ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৬০। ইতালির পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের। এরপরই রয়েছে স্পেন, মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৯২।
পাশাপাশি সুস্থ হওয়ার পরেও সেই ব্যক্তিকে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সামাজিকভাবে কোণঠাসা করে রাখা রাখা হচ্ছে তাঁর গোটা পরিবারকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অভিমত, কোভিড-১৯ ঘিরে এভাবে অহেতুক একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। পরিণামে বেপথু হয়ে পড়ছে তামাম সামাজিক বিন্যাস।