হু হু করে বেরোচ্ছে গ্যাস ! পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে রয়েছে প্রাণহানির আশঙ্কাও
অসমে ডিব্রুগড়ের বাঘজানে অয়েল ইন্ডিয়ার পাইপে বিস্ফোরণের ১৪ দিন পরেও লিক মেরামতি হলোনা
পল্লবী : গ্যাস লিক করে আবারো বিপত্তি। অসমে ডিব্রুগড়ের বাঘজানে অয়েল ইন্ডিয়ার পাইপে বিস্ফোরণের পরে গ্যাস বেরোনো বন্ধ করা গেল না ১৪ দিনেও। তীব্র শব্দে গ্যাস বের হচ্ছে, যা থেকে বায়ু দূষণ হয়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই রাসায়নিক বিক্রিয়ার তীব্রতায় আশপাশের জলাশয় বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে চা বাগান, সুপুরি বাগান ও শস্য খেত।
অয়েল ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাইপ মেরামতির জন্য বিভিন্ন দেশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থার তিন জন বিশেষজ্ঞ আসছেন। ঘটনাস্থল থেকে তেল যাতে আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই চারপাশে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় মত্স্যজীবীদের কাজে লাগিয়ে মাগুরি-মতাপুং বিলের কোন অংশে জলে তেল মিশছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। পুরো ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
অয়েল ইন্ডিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ও ত্রাণ শিবিরে থাকতে বাধ্য হওয়া ৬৩০টি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে । গ্যাসের কারণে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর কথা বলা হলেও অয়েল ইন্ডিয়া এর সত্যতা অস্বীকার করেছে। জেলাশাসক ভাস্কর পেগু বলেন, “বিস্ফোরণের ফলে দূষণের ঘটনা সত্য। তবে কেউ মারা গিয়েছেন কি না জানতে আমরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”
সম্প্রতি, বিশাখাপত্তনমেও গ্যাস লিক করাতে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে অনেক তাই সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক এবং কতৃপক্ষকে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এর ফলে যেমন কর্মরত কর্মীদের প্রাণহানীর আশঙ্কা রয়েছে তেমনি স্থানীয়দের জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। শিশু এবং বয়স্ক থাকলে তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আর পরিবেশের ক্ষতি তো অনিবার্য।