চিন কি তবে নিজেকে শুধরে নিচ্ছে নাকি নতুন রূপে ফেরার প্রস্তুতি !
প্রায় দেড় থেকে ২ কিলোমিটার পিছনে নিজেদের সমস্ত ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছে চিনের বাহিনী।
পল্লবী কুন্ডু : করোনা আবহে সারা বিশ্ব জুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছিল প্রতি মুহূর্তে তার চেয়েও বেশি উত্তপ্ত ছিল ভারতীয় সীমান্ত রেখা। পাকিস্তান ভারতের সীমান্তে প্রায়শই পাকিস্তান পক্ষ থেকে বিঘ্নিত হয়েছে যুদ্ধ বিরোধী চুক্তি। আর এই মুহূর্তে তাকেও পেরিয়ে যাচ্ছে ইন্দো-চিন সীমান্ত বিবাদ। ভারত প্রথমেই চেয়েছিলো যে আলোচনার মাধ্যমে গোটা বিষয়কে প্রশমন করতে কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে যে নারাজ চিন সেটা চিনের ব্যবহার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। চিন আচমকাই আঘাত হানে ভারতের ওপর এর জেরে প্রাণ হারায় ২০ জন জওয়ান। এই ঘটনার জেরেই ফুঁসতে থাকে ভারতের সেনা মহল থেকে শুরু করে গোটা ভারতবাসি। তবে এবার শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। চিন নাকি সীমারেখা থেকে পিছু হটছে।
যে বিষয়টি আপাতত জানা যাচ্ছে তা হলো, পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে দুই দেশের সেনাই কিছুটা করে অংশ পিছিয়েছে। একই প্রক্রিয়া হট স্প্রিং এরিয়াতেও পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ ও ১৭-এ তে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।সরকারি সূত্র তরফ থেকে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে যে, ‘রবিবার রাত থেকেই গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষা জন্য যে নির্মাণ লাল ফৌজ করেছিল তা সরানো হয়েছে। আপাতত পুরো এলাকা সাফ করা হয়েছে। তাদের সেনা সরাতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ওই এলাকায় আনা হয়েছে। এরপরই দু’তরফে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে।’ তবে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হৃদের উত্তরে ও দেপসাংয়ে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে আদৌ কি বিশ্বাস রাখা যায় এই লাল সেনাদের ওপর !
সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘সেনা সরানোর কাজ বাস্তবে কতটা হল তা খতিয়ে দেখতে ভারতীয় সেনার একটি দল নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু পয়েন্ট যাবে। আগামিকালই সম্পূর্ণ রিপোর্ট মিলবে। তবে, গালওয়ানে চিনের তরফে সান সরানো ও নির্মাণ ধ্বংসের কয়েকটি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।দু’তরফেই সেনা কতটা করে সরেছে তা এখনও সম্পূর্ণভাবে সঠিক করে জানানো সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে সিত্র। ভারত-চিনসেনা পর্যায়ের বৈঠকে পিপি-১৪ থেকে সেনা সরানোয় সম্মতি জানায় দুই দেশ। কিন্তু বিপরীত পক্ষ ঠিক কতটা এই পরিকল্পনা মেনে নেবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি।যে প্রশ্নটি উঁকি মারছে তা হলো, যদি চিন নিজ ইচ্ছায় সরেও যায় তবে সেটির আসল কারণ কি স বিষয়টিও কিন্তু যথেষ্ট ভাবনার সৃষ্টি করে। সত্যিই কি বিবাদ প্রশমনের জন্য নাকি আরও আক্রমণাত্মক রূপ নিয়ে ফিরে আসবে চিন ? তবে সব কিছুর জন্যই তৈরী ভারত।