Nation

ইসলামাবাদের মাটিতে হিন্দু মন্দির নির্মাণের অনুমোদন পাকিস্তান সরকারের

ধর্মকে সাথে নিয়ে ইসলামাবাদের হিন্দু বাসিন্দাদের জন্য এবার নির্মিত হচ্ছে মন্দির।

পল্লবী কুন্ডু : তবে কি শেষপর্যন্ত সত্যিই ঘুচলো হিন্দু-মুসলিম সংঘাত ! ইসলামাবাদে এবার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে হিন্দু ধর্মালয়। হ্যাঁ এমনটাই ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপ্রধান। হিন্দু মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ কোটি পাকিস্তানি টাকা বরাদ্দ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই বিষয় নিয়ে এই বৈঠক আয়োজিত হয়।সভায় মানবাধিকার বিষয়ক ফেডারেল সংসদীয় সচিব লাল চাঁদ মালি, পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা রমেশ ভঙ্কওয়ানি এবং অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকের পরেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী পীর নুরুল হক কাদরি মন্দির নির্মাণের জন্য কিছু সাহায্য চান সরকার পক্ষ থেকে এমনটাই জানা গেছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।

যদি জনসংখ্যার দিকে দেখা যায় তবে ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের হিন্দু জনসংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। তাই এবার তাদের জন্যই একটি ধর্মালয়ের ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার। তবে এই বিষয় নিয়ে প্রতিনিধিদল রাজধানীতে প্রথম মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারের সমর্থন চেয়েছিল। আর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মৌখিক অনুমোদন দিয়েছেন। পীর নুরুল হক কাদরি ডন নিউজকে জানান,”ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে রয়েছি। আশা করা হচ্ছে যে এটি পরের সপ্তাহে অনুমোদন দেওয়া হবে।”

এই মুহূর্তে ইসলামাবাদে যেহেতু শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ নেই আছে হিন্দু ধর্মের মানুষও। আর তাই জন্যই ধর্মকে বিশ্বাস করে, ধর্মকে মান্যতা দিয়ে হিন্দু ধর্মের মানুষদের জন্য তৈরী করা হচ্ছে দেবালয়।ইসলামাবাদের এইচ-৯ সেক্টরে ২০ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে তৈরি হচ্ছে একটি কৃষ্ণ মন্দির । ইসলামাবাদ হিন্দু পঞ্চায়েত সমিতি নাম রেখেছেন শ্রীকৃষ্ণ মন্দির। পঞ্চায়েতের সভাপতি মহেশ চৌধুরি বলেন, “বালুচিস্তান ও সিন্ধু সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ ইসলামাবাদে চলে এসেছেন মূলত এই অঞ্চলগুলির নিরাপত্তাহীনতার কারণে। এখন যখন এখানে আমাদের পরিবার রয়েছে, তাই শ্মশানের দরকার, সম্মিলিত প্রার্থনা ও বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য একটি জায়গা দরকার। বর্তমানে আমরা সরকারের কমিউনিটি হলে হোলি এবং দিওয়ালির অনুষ্ঠান করি।” হয়তো এই নির্মাণকার্যের সাহায্যের দুই দেশের মধ্যে যে ধর্মযুদ্ধ তার হয়তো সমাপ্তি ঘটবে। কিন্তু ইসলামাবাদ সরকার এই বিষয় নিয়ে আত্মস্ত করতে পারবেন তো, যে পরবর্তী সময়তে কোনো বিবাদ হলে নির্মিত মন্দিরের ওপর তার ক্ষোভ এসে পড়বেনা।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading