২০২০ সালে দাঁড়িয়ে কন্যা সন্তান হওয়ায় তাকে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হলো, উত্তরে কি বলবে সমাজ ?
কন্যা সন্তান এনেছিল তারা পৃথিবীতে, সম্ভবত সেই কারণেই সেই ছোট শিশুটিকে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হলো মাটিতে।
পল্লবী কুন্ডু : আজকের মতো দিনে দাঁড়িয়েও গোটা সমাজকে মানতেই হবে যে, এখনো নারী পুরুষের বিভেদ রয়েছে আজকের এই অত্যাধুনিক সমাজে।যেখানে আজও হত্যা করা হয় কন্যা ভ্রূণ। হ্যাঁ হয়তো অনেকেরই মনে হবে যে মন গড়া কথা। কিন্তু তা একেবারেই নয়।ছোট শিশুটি ভুমিষ্ট হয়েছে কিন্তু তার সবচেয়ে বড়ো দোষ হলো যে, সে একজন কন্যা সন্তান। আর তার এই অন্যায়ের খেসারত টাও তাকেই গুনতে হলো। এক নিন্দনীয়, চূড়ান্ত লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী থাকলো মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ। কন্যা সন্তান এনেছিল তারা পৃথিবীতে, সম্ভবত সেই কারণেই সেই ছোট শিশুটিকে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হলো মাটিতে।
এই চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঔরঙ্গাবাদের সাংসদ জলিল আহমেদ জানিয়েছেন, শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের তত্পরতায়। তাঁকে উদ্ধার করার পর স্থানীয় পুলিশকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানানো হয়েছে। নান্দেদের পুলিশ সুপার এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। জলিল আহমেদ বলেন, “শিশুকন্যাদের সুরক্ষিত করার কথা আমরা বার বার বলি। আমরা যদি সত্যিই এ বিষয়ে গুরুত্ব দিই, তবে যারা এই কাজ করেছেন তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। তবেই মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছবে।”আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আলাদা করে মানুষকে সচেতনতার বার্তা যে পৌঁছতে হবে সেই বিষয়টাই খানিকটা অবাক হওয়ার না কি !
ওই জেলার নান্দেদ এলাকার একটি বাড়ির পাশ থেকে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। তারপরেই শিশুটিকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেন তাঁরা। সেই ছবিই ফ্রেম বন্দি করার কিছু সময়য়ের মধ্যেই রীতিমতো বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে গোটা সমাজ মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন ঔরঙ্গাবাদের সাংসদ জলিল আহমেদ। সেই ছবি মানুষের হাতে পৌঁছনোর সাথে সাথেই তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। এবং পরবর্তী সময়তে এই বিষয় নিয়ে কতটা পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।