কখনো শ্রম আইন ভাঙছে আবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারি করণ, কেন এরূপ দ্বিচারিতা শ্রমিকদের সাথে ?
দেশজুড়ে ১০ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাকে বাংলার শ্রমিকেরা
পল্লবী : এটি প্রথমবার নয় এর আগেও শ্রম আইন ভাঙা নিয়ে লকডাউন চলাকালীন বিক্ষোভে সামিল হয়েছে শ্রমিক সংগঠন গুলি। আর এবারো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলিকে বেসরকারিকরণ এবং শ্রমিক বিরোধী সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘটে সামিল শ্রমিকরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ অনুমোদিত শ্রমিক ইউনিয়ন ভারতীয় মজদুর সংঘ দেশজুড়ে ১০ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে ডাক দেয়। ইতিমধ্যেই এই সংগঠনের পক্ষ থেকে স্লোগান উঠছে ‘রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাঁচাও, ভারত বাঁচাও’ বলে। তার যেসকল মানুষ প্রতিমুহূর্তে সরকারকে তাতাচ্ছে তাদেরকে বিএমএস ‘লুণ্ঠনকারী’ আখ্যা দিয়েছে অভিযোগকারীরা।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ব্রজেশ উপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, বিএমএস লড়াই করে যেতে ততদিন দায়বদ্ধ যতদিন না সরকার শ্রমিক বিরোধী এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। তাদের পক্ষ থেকে বৈঠকে দাবি তোলা হয়েছে, দেশকে বাঁচাতে বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে । বিএমএসের বক্তব্য, সরকার চালাতে অর্থের দরকার আর তারজন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণ করতে উদ্যোগী হয়েছে এই সরকার।
শ্রমিক সংগঠনের বক্তব্য, এই সরকারের কোনও নৈতিক অধিকার নেই তার পূর্বসূরিদের সৃষ্টি করা জাতীয় সম্পদ বেচে দেওয়ার। গত মঙ্গল এবং বুধবার বিএমএস ইউনিয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন কয়লা, প্রতিরক্ষা, রেল, ডাক, ব্যাংক,বিমা, ইস্পাত, টেলিকম বিদ্যুত্ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা যেমন ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াতে বৈঠক করে। যেখানে আলোচনা হয় বেসরকারিকরণ রুখতে কি ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ওই বৈঠকেই পর্যবেক্ষণ করা হয় সরকার কেমন ভাবে চেষ্টা করছে অন্যার্য সিদ্ধান্ত দেশের শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার।
এই মুহূর্তে যদি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলিকে বেসরকারিকরণ করা হয় তা কোনো ভাবেই মেনে নেবে না শ্রমিক সংগঠন গুলি। বর্তমান পরিস্থিতি এমন এসে দাঁড়িয়েছে যে, তাতে প্রতিটি মুহূর্তেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাংলার শ্রমিকদের। আর এখন ধর্মঘটের জেরে যদি তারা এও বলেন যে তাদের দাবি না মানলে, তারা কাজ বন্ধ করে দেবে তবে সে ক্ষেত্রে রাজ্যের জন্য ভবিষ্যতে আরো দুর্দিন আসতে চলেছে এমনটাই অনুমান করা যায়। একেই অর্থিনীর যা হাল তা ফেরাতে একমাত্র সম্বল হচ্ছে শিল্প কিন্তু শিল্পীই যদি না থাকে তবে তা হবে কিভাবে ?