ত্রিপুরায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, বিএসএফ জওয়ান দের নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
করোনা মুক্ত ঘোষণার পরেই, ত্রিপুরায় বাড়ছে সংক্রমণ
@ দেবশ্রী : না শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েও যেন মুক্তি পাওয়া গেল না করোনা থেকে। ত্রিপুরায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দু’সপ্তাহ আগেই ত্রিপুরাকে ‘করোনামুক্ত’ রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তবে রক্তবীজের বংশ যে এত সহজে শেষ হওয়ার নয় তা স্পষ্ট। এবার সে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪।
কিন্তু হটাৎ করে কীভাবে বাড়ল সেখানে এত আক্রান্তের সংখ্যা ? জানা যাচ্ছে, উত্তর- ধলাই জেলার আম্বাসায় বিএসএফ-এর ১৩৮ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে ২২ জন জওয়ানের শরীরের করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা কেস ৬২। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন দুই রোগী।
এদিকে, বিএসএফ-এর ত্রিপুরা সীমান্তের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্সপেক্টর জেনারেল সলোমন মিনজকে চিঠি লিখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রসচিব বরুণ কুমার সাহু। পাশাপাশি, বাহিনীর মধ্যে করোনা সংক্রমণের উত্স ও সাধারণের মধ্যে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট জমা করার নির্দেশও বিএসএফকে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে ত্রিপুরায় প্রথম করোনা সংক্রমণের মামলা সামনে আসে। এরপর অসমের কামাখ্যা মন্দির দর্শন করে আসা এক মহিলা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে আসা ত্রিপুরা রাইফেলসের এক জওয়ানের শরীরের কোভিড-১৯ জীবাণু পাওয়া যায়। তবে দু’জনকেই সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরই এপ্রিলের ২৩ তারিখ রাজ্যকে করোনামুক্ত বলে দাবি করেণ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কিন্তু মে মাসের শুরু থেকেই বিএসএফ জওয়ানদের মধ্যে সংক্রমণ শুরু হয়। প্রায় প্রত্যেক দিনই আক্রান্ত হচ্ছেন একাধিক জওয়ান। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ত্রিপুরার পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।