দু-মাসের মাথায় হুঁশ ফেরাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রায় সুপ্রিম কোর্টের
১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
পল্লবী : পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো নিয়ে একের পর এক বিতর্ক লেগেই ছিল। এবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার পরিশ্রমিকদের ১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে এদিন কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অর্থাত্ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফেরাতে হবে। এই সংক্রান্ত মামলায় আগামী ৯ জুন রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেন, ‘সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফেরাতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের কী ব্যবস্থা রাজ্যগুলি নিচ্ছে, সে সম্পর্কে রেকর্ড রাখতে হবে। পরিযায়ীদের তালিকাও তৈরি করতে হবে।’
আদালতে এদিন সলিসিটর জেনারেল জানান, ৩ জুন পর্যন্ত ৪,২০০টির বেশি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে এক কোটি পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফেরানো হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে আর কত ট্রেন লাগবে সে ব্যাপারে রাজ্যগুলিতে জানাতে বলা হয়েছে। বিহার সরকারে প্রতিনিধি হিসেবে রঞ্জিত কুমার এদিন শীর্ষ আদালতে জানান, ‘রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ফেরানা হয়েছে। বিহার সরকার তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে।’ আদালত রাজস্থান সরকারের প্রতিনিধিকে জানায়, রাজ্যের এখনও কত পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরতে চায়, তার তালিকা তৈরি করতে। রাজস্থান সরকারের প্রতিনিধি মনীশ সিংভি জানান, ‘সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। দয়া করে প্রত্যেককে বাড়ি ফেরানোর জন্য ১৫ দিন সময় দিন।’
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার শীর্ষ লগ্ন থেকেই পরবর্তী সময়ের কথা মাথায় রেখে সারা দেশে ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার এবং লকডাউনের ফলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পরে শ্রমিকেরা আর গত ২ মাস ধরে কম দুর্গতি পোয়াতে হয়নি তাদের। বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয়েছে শ্রমিকদের তবে কিছুটা তৎপরতার সাথে সাথে ফেরানোর কাজ শুরু হলেও আমপানের কারণে বাংলায় তা বিঘ্নিত হয়। আর এবার এতদিন পর হুঁশ ফেরাতেই ১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দায় সুপ্রিম কোর্ট।