‘প্রাপ্য বেতন টুকুই চাইছি’, শেষে বেতনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিতে হলো এই পরিস্থিতির মহাযোদ্ধাদের
দিল্লির উত্তর কর্পোরেশন পরিচালিত পুর হাসপাতালের চিকিত্সকরা গত তিন মাস ধরে বেতন পাননি
পল্লবী : মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন গত সপ্তাহে আলোচনায় বসে একটি চিঠি ইমেলের মাধ্যমে লিখে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। না তারা করোনা নিয়ে কোনো নির্দেশিকা, বা কোনো রিপোর্ট পেশ করে চিঠি পাঠাননি। তারা চিঠি পাঠিয়েছেন তাদের মাসিক বেতন নিয়ে। দিল্লির উত্তর কর্পোরেশন পরিচালিত পুর হাসপাতালের চিকিত্সকরা গত তিন মাস ধরে বেতন পাননি। আর তাই শেষমেষ বলা যেতে পারে বাধ্য হয়েই পরিস্থিতি বদলাতে তাঁদের চিঠি লিখতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
তাঁরা লিখেছেন, করোনা ভাইরাস অতিমারীর সময় চিকিত্সকরা অত্যন্ত চাপের মধ্যে প্রতিদিন কাজ করছেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল, এই তিনমাসের বেতন তাঁদের দেওয়া হয়নি। লিখেছেন, ‘আমরা জানি, এই সংকটের কালে আমাদের কাজ একজন রোগীকে সেবা করা। কিন্তু আমরা তো অতিরিক্ত কিছু চাইছি না। শুধু আমাদের প্রাপ্য বেতন চাইছি।’ উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। চিকিত্সকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছি, কারণ, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া আমরা বোধহয় আর প্রাপ্য বেতন পাবো না।’
কেন এরূপ পরিস্থিতি ? দেশের অর্থিনীতি কি এতটাই থই হারিয়েছে যে, এই মহা যুদ্ধের যোদ্ধারাই তাদের সামান্য পারিশ্রমিক টুকু পাচ্ছেন না। তারা কিন্তু অতিরিক্ত কিছু চাইছেন না তারা শুধুমাত্র তাদের প্ৰাপ্য পারিশ্রমিক টুকুই দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এবার এর বিপক্ষে নরেন্দ্র মোদী কি পদক্ষেপ নেন তাই দেখার পালা।