Uncategorized

দুই করোনা রোগী চড়ে এল বিমানে, অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো খবর নেই ! সুরক্ষা কোথায় ?

হচ্ছে নিয়মের উলঙ্গন, বিমান বন্দরে হচ্ছে না স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অভিযোগ মন্ত্রী শুভেন্দুর

দেবশ্রী কয়াল : করোনা আবহেই চালু হয়ে গেছে বিমান পরিষেবা। তবে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানবন্দরে যাত্রীদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে না, মানা হচ্ছে না অনেক নিয়মই। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এমন ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন। কেন্দ্রের গাফিলতির দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর অভিযোগ, যাঁরা নিয়ম তৈরি করছেন, তাঁরাই সেই নিয়মের লঙ্ঘন করছেন।

মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সোমবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ২৬ বছরের ইন্দ্রজিত্‍ দোলই ও ২৩ বছরের স্বরূপ সামন্ত জানান, তাঁরা করোনা পজিটিভ। হাসপাতাল ভরতি নেওয়ার সময় দেখে তাঁরা ১২ জুন চেন্নাইয়ের এক ল্যাবে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করেছিলেন, ১৩ তারিখ রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ জন চেন্নাইয়ের চিঙ্গুলপেটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কাজ করেন একটি কারখানায়। ওই কারখানার একজন কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায় বাংলার ৯ জন সেখানকার সরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য যান। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের কোনও উপসর্গ না থাকায়, পরীক্ষা করেনি ওই হাসপাতাল। তবে ইন্দ্রজিত্‍ ও স্বরূপবাবু নিজেদের উদ্যোগে এরপর বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করান এবং তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। দু’জনকে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের কোয়ার্টার ছাড়তে বলে। যদিও তাঁদের বাকি ৭ সহকর্মী চেন্নাইতেই কোয়ারেন্টাইনে রয়ে যান।

এরপর গত ১৪ তারিখ, রবিবার রাত ১০টার ইন্ডিগো-৬৩৮৫ বিমানে চেন্নাই থেকে কলকাতায় ফেরেন ইন্দ্রজিত্‍ দোলই ও স্বরূপ সামন্ত। ১৫ তারিখ ভোরে কলকাতা পৌঁছে ভোরে একটি গাড়িতে চেপে এই হাসপাতালে পৌঁছান এবং নিজেদের শারীরিক পরিস্থিতির জানিয়ে, নিজেদের চিকিত্‍সার জন্য আবেদন করেন। এই খবর পৌঁছয় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কানে। তিনি জানিয়েছে, ওই ২ ব্যক্তির চিকিত্‍সা হচ্ছে। তবে কীভাবে দুটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে তাঁরা করোনা পজিটিভ অবস্থায় চলে এলেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই অবস্থায় বাকি প্যাসেঞ্জারদের প্রভাব পড়েছে কী না তা নিয়ে দেখা দিচ্ছে প্রশ্ন। সব থেকে বড় বিষয় হল, এত বড় গাফিলতি হয় কীভাবে।

মন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্র তো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁদের পাঠাতে পারত। আসার সময় এই ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সংক্রমণ হলে দায় কার? কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ICMRকে এই গাফিলতির জবাব দিতে হবে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ওই বিমানে যাঁরা এসেছেন এবং বিমানবন্দরে কেউ তাঁদের সংস্পর্শে এলে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানোর কথা বলেন।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading