অস্বাভাবিক ভাবে সম্পূর্ণ ভোলবদল রামদেব সংস্থা পতঞ্জলির, কিন্তু কেন ?
হাতে গোনা মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই করোনা নিরাময় সম্ভব। কিন্তু এখন যে পুরোপুরি উল্টো সুর বাজছে তাদেরই গলায়।
পল্লবী কুন্ডু : এভাবে পুরোপুরি ভোলবদল ! সম্পূর্ণ দায় অস্বীকার করলো রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। গোটা বিশ্বই এই মুহূর্তে জোড় কদমে তৎপর একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিনের আশায়। কিভাবে গোটা মানবসম্প্রদায়ের সামনে তা এনে হাজির করা যায় সে বিষয় নিয়েই কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছে এই প্রত্যেকজন গবেষকদের। এই কঠিন কাজ কে এক তুড়িতে সহজ করে ফেলেছিলো পতঞ্জলি। আর তার পরেই বাদে ঘর বিবাদ। সেই মুহূর্তে পতঞ্জলি সংস্থার দাবি ছিল যে, হাতে গোনা মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই করোনা নিরাময় সম্ভব। কিন্তু এখন যে পুরোপুরি উল্টো সুর বাজছে তাদেরই গলায়।
আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড ড্রাগ ডিপার্টমেন্ট-এর এক নোটিসের জবাবে একেবারে উল্টো জবাব এই সংস্থার, এই মুহূর্তে পতঞ্জলি সংস্থা দাবি করছে যে, তারা কখনওই বলেনি, ‘Corona kit’ নামে কোনও ওষুধ তৈরি করেছে।এ কেমন দাবি রামদেবের এই সংস্থার ! এই কথার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর সমালোচনা। করোনার প্রতিষেধক হিসেবে তৈরী ওই কীটকে উল্লেখ করে পতঞ্জলিকে নোটিস ধরায় উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ দফতর। তাঁরা জানান, পতঞ্জলি লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্রে করোনা ভাইরাসের কোনও কিছু উল্লেখ করেনি। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবেই লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়েছিল।
আর প্রাপ্ত সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতেই পতঞ্জলি দাবি করেছে, ‘করোনা কিট নামে কোনও ওষুধ আমরা তৈরি করিনি। আমরা শুধু দিব্য স্বসারি ভাতি, দিব্য করোনিল ট্যাবলেট ও দিব্য অনু তেল— এই তিন ওষুধকে একসঙ্গে প্যাকেট করেছি, শিপিংয়ের সুবিধার জন্য। করোনিল কীট নামেও কোনও ওষুধ আমরা বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করিনি। করোনা সেরে যাবে, এই ধরনের প্রচারও করিনি। আমরা শুধু বলেছি, এই ওষুধের ট্রায়ালে সাফল্য মিলেছে। সেটাই আমরা মিডিয়ায় প্রচার করেছি।’ উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ দফতরের লাইসেন্স অফিসার তাদের এই কার্যকলাপকে তীব্র কটাক্ষের সাথে প্রশ্ন তুলছেন,’যখন পতঞ্জলি ওই ওষুধের জন্য লাইসন্সের আবেদন করেছিল, সেই আবেদনে করোনা ভাইরাসের কোনও উল্লেখ ছিল না। একটি ইমিউনিটি বুস্টার ও সর্দি-কাশির ওষুধ হিসেবেই আমরা লাইসেন্সের অনুমোদন দিয়েছিলাম। কার অনুমতিতে পতঞ্জলি COVID19-এর কিট তৈরি করল?’
তাহলে একাধিক মহলে এই প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কিসের কারণে এমন পথ বাঁচতে হলো পতঞ্জলি সংস্থাকে। কেন অনুমতি পত্রে করোনা বিষয়ক কোনো কথা উল্লেখ করলেন না ? সংশ্লিষ্ট বিষয় কি পুরোপুরিই এরিয়ে যাবে যোগগুরু রামদেব ? নাকি তাদের এই কার্যকলাপ নিয়ে নয়া কোনো যুক্তি পেশ করবে ? উঠছে প্রশ্ন