Entertainment

কণিকা কাপুরের শেষ পর্যন্ত রিপোর্ট নেগেটিভ।

হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল, কণিকা কাপুরকে।

পল্লবী : গত ২০ মার্চ ধরা পড়ে যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কণিকা কাপুর। এরপর ভর্তি হন লখনউয়ের এই হাসপাতালে। গত ৯ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন কণিকা কাপুর। প্রাথমিক ভাবে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি তাঁর। বিমাবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিংয়েও ধরা পড়েনি কিছুই। তবে দেশে ফেরার দিন চারেক পরেই সর্দি-কাশি-জ্বর ও নানারকম লক্ষণ দেখা দেয় কণিকার। এরপর হাসপাতালে গিয়ে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার পর জানা যায় যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গায়িকা। মার্চ মাসের ২০ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন কণিকা। তারপর থেকে এই নিয়ে মোট সাতবার টেস্ট হয়েছে কণিকার।

অবশেষে শেষ দু বারের টেস্টের রেজাল্ট এসেছে নেগেটিভ। তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো হাসপাতাল থেকে। একই সপ্তাহে এই নিয়ে দু’বার টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁর। তাই লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কণিকাকে। যদিও এর আগে পরপর পাঁচবার গায়িকার রিপোর্ট এসেছে কোভিড ১৯ পজিটিভ। শেষ দু’বার রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।

এই দু’টি টেস্টই একই সপ্তাহে করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কণিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে লন্ডন থেকে ফিরে অসুস্থতার কথা বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন তিনি। কাউকে কিছুই জানাননি। এমনকি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিলেও সেসব নাকি মানেননি গায়িকা। উল্টে একগাদা লোক জড়ো করে পার্টি করেছিলেন লখনউয়ে। সেখানে লখনউয়ের নামিদামি আমলা, কর্তাব্যক্তি, এবং সমাজের উঁচুদরের ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং তাঁর ছেলে দুষ্মন্ত সিং। কণিকার পার্টির পরের দিন আবার সংসদেও গিয়েছিলেন দুষ্মন্ত। যদিও গায়িকার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই সেলফ আইসোলেশনে চলে যান মা ও ছেলে। পরীক্ষাও করান লালারসের নমুনা। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading