Uncategorized

বার বার সময়সীমা লঙ্ঘিত হওয়ার পর লকডাউনের মাঝেই শুরু হবে মাঝেরহাট সেতুর কাজ

নবান্ন সূত্রে খবর, আপাতত ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কাজ

পল্লবী : সালটা ছিল ২০১৮ এর ৪ঠা সেপ্টেম্বর। হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পরে দক্ষিণ কলকাতা এবং মধ্য কলকাতার অন্যতম প্রধান সংযোগ মাঝেরহাট ব্রিজ। এর ফলে প্রতিদিনের ব্যাস্ততাতে দুর্গতির শেষ নেই বেহালা চত্বরের মানুষের। ঘটনার পর থেকেই সেতু মেরামতের কাজ শুরু হয়ে যায়। কিন্তু চলতি সময়ে লকডাউনের ফলে থমকে রয়েছে কাজ। তাই এবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সোমবার থেকে ফের শুরু হতে চলেছে মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ। দুর্গাপুজোর আগেই কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, আপাতত ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলবে কাজ। পরে করোনা পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।

স্বাস্থ্য বিধি মেনে গ্রিন জোনগুলিতে নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে বলে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝের হাট যে গ্রিন জোনে অবস্থিত তা মুখ্যমন্ত্রী বুধবারই পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ পেলেই পুনরায় শুরু করা হবে নতুন সেতুর কাজ। নবান্নের কর্তারা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় এই সেতু তৈরির কাজে অনেকটাই সুবিধে হবে। কারণ, এই সেতুর নীচ দিয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার ট্রেন লাইন। এছাড়াও, চক্ররেলও চলাচল করে। লকডাউনে দেশজুড়ে একমাত্র পণ্য পরিবহণ ছাড়া সমস্ত ধরনের কাজ বন্ধ আছে। সাধারণ রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আগে ব্রিজের রেলের অংশের কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন নবান্নের কর্তারা।

মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর থেকে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে মাঝেরহাট, তারাতলা, বেহালা, পর্ণশ্রী, মহেশতলা, বজবজ, পূজালি, সরশুনা, ঠাকুরপুকুর, জোকা, বিষ্ণপুর, আমতলা দিয়ে যাঁরা নিয়মিত আলিপুর ও ধর্মতলা যাতায়াত করেন, তাঁদের। এই সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার নিউ আলিপুরের কাছে একটি বেইলি ব্রিজ এবং টালিনালার উপরে মহাবীরতলা এবং হরিদেবপুরে আরও দু’টি নতুন সেতু চালু করেছে। তাতেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এখন পুজোর আগে নতুন এই সেতুর কাজ শেষ করতে চাইছে রাজ্য। এখন শুধু ছাড়পত্র মেলার অপেক্ষা।

তবে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজের সময়সীমা লংঘন হয়েছে বারংবার,এই নিয়ে বহুবার নানান প্রশ্নও উঠেছে। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর দিকে আরো কড়া নজরপাত করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের, দাবী একাংশের।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading