যুক্তরাজ্য সরকারের নয়া এপ্লিকেশন-এর যোগাযোগ কি পৌঁছবে প্রত্যন্ত গ্রামের অলি-গলিতে ?
নয়া এপ্লিকেশন চিহ্নিত করবে সংক্রমিত স্থান
পল্লবী : এর আগেও সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে নানান নতুন রকমের এপ্লিকেশন যার সাহায্যে খুব সহজেই শনাক্ত করা যাবে আপ ব্যাবহারকারীর আসে পাশে কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন কিনা বা তিনি সেফ জোনে আছেন কিনা। আর এবার সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের সরকারের নয়া প্রচেষ্টায় আনা হচ্ছে কন্টাক্ট ট্রেসিং।
কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং হচ্ছে একটি পদ্ধতি যা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়। এটা সাধারণত যৌন রোগের ক্লিনিকে ব্যবহার করা হয়। সেখানে রোগীদের বলা হয় তারা যেসব মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষেত্রে, যেসব মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে যেতে বলা হয়। এটা সাধারণত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়। সাথে একটা স্বয়ংক্রিয় লোকেশন ট্র্যাকিং মোবাইল অ্যাপও সংযুক্ত করা হয়।
তবে কোন ব্যবহারকারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হলে ব্যক্তির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে অ্যাপটি ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করবে।তারা যদি আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় তাহলে ওই ব্যক্তি যার যার সাথে সাম্প্রতিক সময়ে সংস্পর্শে এসেছিল তাদের সবাইকে অ্যাপটি সংকেত পাঠাবে এবং তাদেরকে কোয়ারেন্টিন কিংবা করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেবে। যাদের কাছে স্মার্টফোন নেই, তারা এর বিকল্প হিসেবে ব্লুটুথ সম্বলিত রিস্টব্যান্ড ব্যবহার করতে পারবেন যেগুলো অন্যান্য দেশে লকডাউন ভাঙার তথ্য শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।
বেশ অনেক জায়গাতেই এই ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। ১৮ হাজার সদস্যের শক্তিশালী দলটিতে তিন হাজার সরকারি কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মী থাকবেন। বাকি ১৫ হাজার থাকবে যারা ফোন কল সেবা দিবে। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সাম্প্রতিক চলাফেরা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবে এবং তারপর তারা যাদের সাথে মেলামেশা করেছে তাদেরকে ফোন করে খবর নেবে। এই টেলিফোন ব্যবস্থার সাথে একটি ট্রেসিং অ্যাপ থাকবে যা পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে স্মার্টফোনে ডাউনলোড করা যাবে। ফ্রি এই অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা যখন একে অন্যের কাছাকাছি আসে তখন এটি ব্লুটুথ ব্যবহার করে ট্র্যাক করে। যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং প্রক্রিয়া চালু হয়ে যায়।
আচ্ছা দেশের এমন অনেক স্থান রয়েছে যেখানে মানুষ ব্যবহার করতে পারেন না স্মার্ট ফোন আবার তাদের কাছে নেইও ব্লুটুথ রিস্টব্যান্ড তাহলে সেই প্রত্যেকজন মানুষ কিভাবে সচেনতন হবেন ? তাদের জন্য কি ভাবছে সরকার ?