হরিদ্বারের পূর্ণস্নান বন্ধ হলেও বন্ধ হলোনা গঙ্গা সাগর মেলা, কিসের উদ্দেশ এবং স্বার্থ আছে বাংলার ?
দুয়ারে বিপদ আরো শত শত সৈন্য নিয়ে
তিয়াসা মিত্র : একদিকে স্কুল বন্ধ, ঘরে বসে নিজেদের স্কুল জীবন উপভোগ না করা পড়ুয়ারা অন্যদিকে পুলিশ ডাক্তার সমস্ত প্রথম সারির কোরোনার বিরোধী সৈন্যরা আক্রান্ত হচ্ছে কোরোনার জন্য। তাহলে কি কারণে আদেশ করা হচ্ছে না যাতে মেলা উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হোক? সত্যি এ বিষয়ে আমার অন্তত ভাবনার অতীত। “খেলা মেলা উৎসব” এই তিন বিষয়ে মাননীয়া বিশেষ করে জোর দেন যা অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার। সত্যি তো কত মানুষ তাদের রুজি রুটি পায়ে এর থেকে। বিশ্ববাংলার হস্তশিল্প মেলাতে কত নতুন প্রতিভা আমরা দেখতে পাই এই সবই আমাদের বাংলার ঐহিহ্কে এগিয়ে রাখে অন্যান্য সমস্ত রাজ্য থেকে তা বলাই বাহুল্য।
তবে..এই গঙ্গাসাগর মেলাতে কার স্বার্থ সিদ্ধি হবে ? কেন শুধু আছে অনুষ্ঠান পালন করা গেলোনা এই অবস্থাতে দাঁড়িয়ে? নিয়ম মাফিক পুজো এবং জন সমাবেশ না করে শুধু শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজার্চনা পালন। এটিও তো করা যেত এই করোনা কালে! স্বার্থসিদ্ধি জানি না..তবে একজন সাংবাদিক হিসেবে আগামী দিনের যে ঝড় এর আভাস দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা এবং যে আভাস আমরা প্রতিদিনের করোনা গ্রাফ থেকে পাচ্ছি তা সামলানোর মতন আর্থিক অবস্থা বা ক্ষমতা এই কৃষি ভিত্তিক রাজ্যে আছে তো ? তবে সব শেষে আবার না সেই মৃত্যুর মিছিল , ধাপাতে মৃত দেহের পাহাড় দেখতে হয়ে আমাদের এই সোনার বাংলাকে।
সংক্রমণ আরো ছড়াবে এর সাথে লক ডাউন আবারো হবে এবং আবার এক বছর পিছিয় যাবে আমাদের রাজ্যের শিক্ষার অবস্থান। এতো এখন রীতির নিয়মে চলছে। এতে রাজনৈতিক গন্ধ নেই এরকম যে কেউ ভাবেনি তা নয়। ২০২৪ এর মাছের চোখ লোক সভা সেখানে যুদ্ধ হবে , জয় পরাজয় হবে সব কিছু বোঝা গেল কিন্তু.. মানুষের প্রাণ এবং জীবনের দাম সবার আগে তার আগে কিচ্ছু নয় সরকার নয়, উৎসব নয়, যুদ্ধ নয়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়-এর নিজের “ব্যাক্তিগত মতামতের” পথেই যদি রাজ্য সরকার চলে তাহলে সত্যি আগামী দিন আমরা, আমাদের পরের প্রজন্ম, তাদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক পরিকাঠামো, রাজনীতি সবই সুস্থ ভাবে চালানো যাবে।
বিঃদ্রঃ এই লেখা আমার নিজস্ব ভাবনা থেকে প্রতিফলিত হয়েছে এবং এখানে কোনো রাজনৈনিক দলকে নিচু দেখানোর কোনো পরিকল্পনা ছিলোনা প্রথম থেকেই। একজন সাধার এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিক হিসাবে এটি আমার নিজস্ব মতামত। আশা করি আপনারাও সেই ভাবেই দেখবেন বিষয়টিকে।
চিত্র সৌ : iStock