“গুপ্তধনের সন্ধান” এবার করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসবে
২০২০ এর করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজো পরিকল্পনা ঠিক কতটা ?
শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস : বছর ঘুরতে না ঘুরতে পুনরায় দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। তবে বর্তমান এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে মানুষের খুশি-সুখের গুপ্তধন যেন অতিমারীর মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
উত্তর কলকাতার অন্যতম সেরা একটি পুজো করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব।চলতি ৭৩ তম বর্ষের তাদের এবারের থিম “গুপ্তধনের সন্ধানে”। আগেকার দিনের রাজ-রাজাদের মাটির নিচে ধন-সম্পত্তি লুকিয়ে রাখতেন। তাই এবারে “গুপ্তধনের সন্ধানে” করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব। এবারে তাদের পুজো ৭৩ তম বর্ষে পা দিলো। সাবেকিয়ানায় মোড়া প্রতিমার গায়ের গয়নাও তাদের গুপ্তধনের ভাণ্ডারে লুকায়িত। থিম ভাবনা তানিয়া ভট্টাচার্য, প্রতিমার রূপ প্রদান কুমারটুলির শিল্পী দীপঙ্কর পাল, এবং লোকসজ্জায় দীনবন্ধু নাইয়া – এই তিনজনের মিলিত ভাবনা এবং কারিগরদের মিলিত প্রচেষ্টায় সমগ্র ভাবনাটি রূপায়ণ পেয়েছে।
সার্বজনীন দুর্গোৎসব – এর সেক্রেটারি সুশান্ত সাহার সাথে সাক্ষাৎকারে এবছরের পুজোর বাজেটের বিষয়ে জানতে চাইলে, পুজোর বাজেট প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি। তবে বাজেট কম বলে থিম পুজো থেকে সরে আসেন নি। তাদের থিম পুজোয় যদি মানুষের কিছুদিনের কর্মসংস্থান হয়, তাদের কাছে এটাই বড়ো পাওনা। অন্যান্য সাবেকি পুজোয় যেখানে একজন কারিগরের ৫,০০০ আয় হত, সেখানে আনুমানিক ৩০,০০০ আয় হতে পারে প্রতি কারিগর পিছু।
করবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব – এর এবারের বাজেটের সবথেকে বেশি ব্যয় হয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থা পিছু। স্যানিটাইজার টানেল, বিনামূল্যে মাস্ক প্রদান, থার্মাল স্ক্যানিং,অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার, মেডিক্যাল ষ্টলও বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সুশান্ত সাহা। জনগণের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সবাই একত্রিত হয়ে সিঁদুর খেলা বা প্যান্ডেল উদ্বোধনের জন্য আলাদা করে কোনো অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে না।
এতটা খরচ এবং খাটনির পরেও কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের নিজেদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাটুকু নিয়ে তবেই পুজো পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছেন। আর তা সম্ভব না হলে তারা বিভিন্ন অনলাইন নিউস পোর্টাল অথবা টেলিভিশন নিউস চ্যানেলের সাথে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন, সেখানেই পুজো পরিক্রমা দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন দর্শকদের।