Education Opinion

শীঘ্রহি খুলে যাবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, আর তার আগেই একাধিক গাইডলাইন্স জারি ইউজিসির

দেবশ্রী কয়াল : করোনা সংক্রমণের জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় তা খুলতে ভয় পাচ্ছেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও সম্প্রতি প্রায় ১০টি রাজ্যে শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। যাঁরা ইচ্ছুক কেবল তারাই এখন যাচ্ছে স্কুলে। যার জন্যে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্কুল।

অপরদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর মাস থেকে শুরু হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। আর তার মধ্যেই এবার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন না ইউজিসি। এতদিন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। থিওরি বা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস কিছুই নেওয়া হয়নি। যদিও অনলাইনে কিছুটা থিওরি ক্লাস হয়েছে, তবে প্র্যাকটিকাল কিছুই হয়নি। ফলে পাঠ্যক্রমের অনেকটাই বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় ক্লাস শুরু হওয়ার পরে কী ভাবে কম সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব তার জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ইউজিসি।

এই নতুন গাইডলাইন্সে আট দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তিন পাতার এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়াদের পঠন পাঠনের ক্ষতি কমানোর জন্য যদি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চায়, তাহলে সপ্তাহে ৬ দিন করে ক্লাস নিতে পারে। অর্থাত্‍ ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর অধিকার রয়েছে, কর্তৃপক্ষের। এছাড়া আগামী দিনে ছুটির সংখ্যাও কমাতে পারে। তাহলে এই ক’দিনে যা ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পূরণ করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, পয়লা নভেম্বর থেকেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রথম বর্ষ বা প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস শুরু করতে হবে। কিন্তু কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি ফলপ্রকাশ বা ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হয় তাহলে ক্লাস ১৮ নভেম্বরের পরে শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে অনলাইনে পঠন-পাঠনের কাজ চালাতে হবে।

সব কলেজগুলিতে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির প্রক্রিয়া অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছে। ইউজিসি জানিয়েছে, প্রয়োজনে প্রভিশনাল অ্যাডমিশন করা যেতে পারে। অর্থাত্‍ এক্ষেত্রে ভর্তি হয়েই ক্লাস শুরু করে দিতে পারে পড়ুয়ারা। প্রয়োজনে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের নথি যাচাই করে দেখতে পারে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তবে করোনার জেরে দেশের অর্থনীতি আজ বিপন্ন, এই সময়ে অনেকেরই অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, তাই যেসব ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন বাতিল হবে, তাদের আবেদনের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading