একদিকে হচ্ছে ট্রেন বাতিল, আর দাম বাড়ছে বিমান সফরের।
এই মুহূর্তে অসহায় অনেক মানুষ। ট্রেনের বাতিলের কারনে পৌঁছাতে পারছে না গন্তব্যস্থলে, বাছতে হচ্ছে বিমানের পথ আর বাড়ছে বিমানের চাহিদা।
@ দেবশ্রী : বিমান ভাড়া এখন অগ্নিসম। আকাশ ছোঁয়া বলা যেতে পারে। বিগত কয়েকদিন ধরেই, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে রাজ্যে চলছে রেল অবরোধ। হচ্ছে স্টেশনে ভাঙচুর। আর সেই জন্যই মাঝপথে আটকে যেতে হয়েছে দূররপাল্লার ট্রেন গুলিকে। আর এই পরিস্থিতির কারণেই বাতিল হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনও। আর তার ফলে, নির্ধারিত গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে বিমানের উপর করতে হচ্ছে নির্ভর। আর সেই কারণেই বাড়ছে বিমানের ভাড়া।
মালদার ভালুকা স্টেশনে অশান্তির জেরে রেলপথে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে উত্তর দক্ষিণ বঙ্গকে। এর ফলে রবিবারে কলকাতা ও বাগডোগরার মধ্যে বিমান ভাড়া এক পিঠের দাম ছাড়িয়ে যায় ১৬ হাজার।এদিকে সোম, মঙ্গলবারের ভাড়া রয়েছে এগারো থেকে তেরো হাজারের মধ্যে। বুধবার থেকে পরের তিন দিনের ভাড়া মোটের উপর রয়েছে ছয় থেকে তেরো হাজারের মধ্যে। কয়েক দিন আগে টিকিট কাটলে মাঝ-ডিসেম্বরে এই টিকিটের দাম ছিল তিন থেকে চার হাজারের আশে পাশে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে বেড়েছে চাহিদা, বাড়ছে বিমান সফরের দাম।
রবিবার বিকেলে রেল যখন জানিয়েছিল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী সমস্ত মেল-এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে, তখন স্বাভাবিক ভাবে বিমানের টিকিটে চাহিদা ওঠে তুঙ্গে। সোমবার বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী ইকনমি ক্লাসের টিকিটের ভাড়াই ১৬ হাজার টাকার বেশি হয়। একই রকম ভাবে কলকাতা থেকে বাগডোগরার বিমানের ভাড়াও রয়েছে বেশি।
তবে শুধু মাত্র এ রাজ্যের ভিতরেই নয় ভিন রাজ্যে যাওয়ার জন্যও বাতিল হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেন। ফলে পাশের রাজ্য ভুবনেশ্বরে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিটেরও চাহিদা বেড়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে যাওয়ার ভাড়া হতে দেখা গিয়েছে প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি। আগামী দুদিনের জন্য কলকাতা ভুবনেশ্বর বা উল্টোপথে বিমান ভাড়া তুলনায় বেশি রয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বিমানের টিকিট কাটা মানে একপ্রকার আগুনে ছেঁকা খাওয়ার সমান বলা যেতে পারে। কিছু দিন আগে পর্যন্ত যার দাম কম ছিল, তা ট্রেন বাতিলের কারনে বাড়ছে ক্রমাগত।