লকডাউনের চক্রান্তে নাভিশ্বাস উঠেছে জন সাধারনের.. বিফোরক মন্তব্য শমীক লাহিড়ীর
লকডাউন হলে মানুষ বাঁচবে কী করে ? কী চাইছে রাজ্য সরকার ?
দেবশ্রী কয়াল : “অপদার্থ রাজ্য সরকার ” রাজ্য নিয়ে একপ্রকার খেলা খেলা খেলে যাচ্ছে এই রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ টেনে মুখ মুখলেন সিপিআইএম নেতা শ্রমিক লাহিড়ী। আজ করোনায় রাজ্যের হাল যখন চরম সঙ্কটে, দেশে যখন প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তখন লকডাউন তুলে দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে মোদী-মমতা। দেশে যখন ৫৬৫ সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে হটাৎ করেই কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। যা সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীন এবং অবাস্তব ছিল।
এই মুহূর্তে পর্যালোচনা করা হচ্ছে আরও একবার রাজ্যের দুটি অংশে লকডাউন করার। কিন্তু এই লকডাউন করলেই কী করোনার নিরাময় ঘটবে ? না ঘটবে না। আসলে এই লকডাউন তো চিকিৎসা ক্ষেত্রকে সামাল দেওয়ার জন্য। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গঠন করার জন্য। হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই। কিন্তু পিএম ফান্ডে জমা বহু টাকা। সেই টাকা আজ কোথায় ? কোনো হিসেবে নেই। জনগনের টাকা কোথায় গেল তা জনগণ জানতে চাইলেই তা উত্তর দিতে অস্বীকার কেন্দ্রীয় সরকারের। আর ঠিক সেই অবস্থা রাজ্যের ও। রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কোথাও বেড নেই, আবার কোথাও ভেন্টিলেটর নেই। রোগীরা যাবেন কোথায় ? সরকার কী ভেবেছে তা আদেও। সম্পূর্ণরূপে দিশেহারা তারা। এই যে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ লক্ষ টাকার ঘোষণা করলেন, কোথায় সেই টাকা, কোথায় গেল ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা যা রাজ্য সরকার দেবে বলেছিল ? আম্ফানে মানুষকে ত্রাণ দিতে গিয়েও সেখানে চলে তাদের দুর্নীতি।
এই যে আরও একবার পরিকল্পনাহীন লকডাউনের কথা বলছে রাজ্য সরকার, তা সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পনাহীন। এতে সাধারণ মানুষের কী হবে ? কীভাবে বাঁচবেন তাঁরা ? যেখানে সরকারের চিকিৎসা ব্যবস্থা বাড়ানো উচিত ছিল, Rapid Test থেকে শুরু করে Group Test করা, কিন্তু সরকার সেই দিকে কর্ণপাত করলে তো ? লকডাউন করছে সরকার ! যেখানে মানুষের কর্মসংস্থানের, তাঁদের খাবারের, তাঁদের চিকিৎসার দায়িত্ব টুকু রাজ্য সরকার পালন করতে ব্যর্থ, কীভাবে বাঁচাবেন তাঁরা বাংলার মানুষকে। “
রাজ্য সরকারের প্রতি প্রশ্ন থাকল জন সাধারনের, প্রশ্ন থাকল বিরোধী দলেরও। আবারও কী হবে লকডাউন, আর করলেও আদেও কী তা হবে কার্যকরী ?