গানের একাল সেকাল সবই মিশে যায় ওই অন্ধকারে নিভৃতবাসে
আধুনিক যুগে কিংবদন্তীরাই সঙ্গী নতুন প্রজন্মের জীবন শৈলীতে

তিয়াসা মিত্র : প্রাক্তন বিষয়টি কি তা জানে না এরকম মানুষ বোধহয় এই পৃথিবীতে নেই। আর তার সাথে sad song ভালোবাসেনা তা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে। কারণ আজকের দিনে সব কিছু পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে মানুষের চাওয়া পাওয়া গুলো বদলায় হর্স পাওয়ারের গতিতে। যতদিন যাচ্ছে আজকাল এর যুব সমাজের ভেতর থেকে ভালোবাসার প্রতি আস্থা এবং উদাসীনতা নজরে পড়ার মতন কারণ হিসাবে বিশেষ ভাবে দেখা যায় প্রশ্রুতি না রাখা সেটি নিজ কারণে হোক বা পরিস্থিতি গত কারণে। শুধু তাই নয় এই প্রজন্মের আরো অনেক কারণ যেমন জীবনে দাঁড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা , বেকারত্বে ধুঁকতে থাকা , বাড়ির চাপ বিয়ে চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে। এই বিষয়ে গুলি নিজের শত্রু হিসাবে দেখেনি এরকম কেউ নেই এই ধরাধামে। তবে কি ভাবে সেই বিষয়ে গুলিকে সামাল দিতে হবে সেই খেলাটা একেবারে নিজের হাতে। কেউ পারে কেউ পারেনা।
তবে দিনের শেষে জীবন যুদ্ধে আবার হেরে গিয়ে কালকের জন্য নতুন করে নিজেকে তৈরী করা বা জীবন যুদ্ধে সফলতা অর্জন করে নিভৃতে নিজের জন্য সময়ে বের করে একটু গান জগতে হারিয়ে যাই আমরা সবাই। নতুন যুগের অরিজিৎ সিং, মিথুন , বিশাল, জুবিনের মাঝখানে একটি বিশাল জায়গা করে রেখে দিয়েছে সেই সাদাকালো যুগের হিন্দি গান। লতা,আশা, কিশোর কুমার, আরডি বর্মন এর মতন কিংবদন্তি শিল্পীদের সৃষ্টি গান যা এযুগেও একলা ঘরে নিজের না পাওয়া বা সফল হওয়ার প্রতিটি খনকে এক আলাদা মাত্রা দেয়। এই অনুভূতিতে যে অভিজ্ঞ বা যে রোজ এই মায়াবী সময়টা কাটাই তার জন্য বোঝা খুবই সহজ। আজকালের বেশি পছন্দের গানের ভেতর পুরোনো sad song বা romantic song-এর মেলোডি বেশি উপভোগ করছে। সমীক্ষাতে দেখা যাচ্ছে ৮০ দশক- ৯০ দশকের মানুষের মধ্যে এই গান শোনার তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যেত না। কিন্তু সেই গানের রেশ আজ এত বছর পর এই আধুনিক জীবনে আবরণ সৃষ্টি করেছে।
আমি আমারি কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু মহলে এই প্রশ্ন করতে বেশি ভাগ উত্তর আমি এরকম পাই আজকালকার দিনের লিরিক্সে-এর থেকে তখনকার লিরিসি বেশি বোঝবার মতন অর্থাৎ তারা সেই সময়ে গানের সাথে নিজেরদের জীবনের মানে খুঁজে পায় প্রতি ক্ষেত্রে। কোথাও গিয়ে বোঝাই যায় আজকালকার ছেলে মেয়েরা বিচ্ছেদ, অসফলতা, ধৈর্য ,সময়ে এই বিষয়ের ওপর এখনো নিজেদের পোক্ত করতে পারেনি। এই সব কোটি কিন্তু একটির সাথে আর একটি চেন সিস্টেমে যুক্ত। এবং তারা আরো বলে সেই গান গুলো তাদের অনেকেরই জীবনের সেই গভীর ক্ষত গুলোকে মলম দিতে সাহায্য করে। অর্থাৎ বলাই বাহুল্য যারা বলেন আজ কাল ছেলে মেয়েরা গানের মানে আসলে কি তা জানেনা তাদের জন্য আশা করি এই পরিচ্ছেদ অনেকটা সাহায্য করবে এবং নিজের পরিবারে কেউ যদি এই চেপে রাখা দুঃখ এবং অসফলতার প্রলেপ নিয়ে দিন কাটিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়াতে পারবেন। বিশ্বাস তৈরী হতে যতনা সময়ে লাগে সেখান থেকে তা ভেঙে যেতে বেশি সময়ে লাগে না ,তাই এই জীবনের অত্যন্ত একান্ত বিষয়ে এবং একান্ত দুঃখের সাথী হিসাবে থেকে যাক সেই গান গুলো যা আবারো আমাদের মধ্যে দিয়ে হারিয়ে যাওয়া প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।