West Bengal

শাসকের মধ্যেই সচেতনতার অভাব, তাহলে রাজ্যবাসীর কি দোষ ?

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষ, ১২৪ নং ওয়ার্ডের এক দফা কার্ড প্রদান সম্পন্ন হয়েছে আজই

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত শনিবারেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানান, ‘‌দুয়ারে সরকার’‌ প্রকল্পে শনিবার বিকেল চারটের মধ্যে দুকোটি মানুষের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। পাশাপাশিই মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) লিখেছেন,’‌আমি আবার প্রত্যেক রাজ্য সরকারি কর্মীকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি মানুষের দরজায় সহজভাবে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করার জন্য।’‌ একুশে নির্বাচনের আগে যে কটি সরকারি প্রকল্প ইতিমধ্যেই পরিষেবা দিতে শুরু করেছে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।

এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষ। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে আবেদন পর্ব তারপরেই শুরু করা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রদান। আজ ১২৪ নং ওয়ার্ডের এক দফা কার্ড প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি সরকারি পরিষেবা পেতে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ, বলা যেতে পারে করোনা নিয়ম-বিধি খানিক ভুলেই।

যাতে সকলে সামাজিক দূরত্ব মেনে, মুখে মাস্ক পরে সচেতন ভাবেই সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে সেই আবেদনই করছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যা প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রত্যক্ষণ করেছেন, যে সরকারি আধিকারিকেরা গেটের কাছে নথি দেখছিলেন বা সকলকে ঠিক-ঠাক নিয়ম মানার কথা বলছিলেন তারা প্রায় কেউই মুখে মাস্ক পরে ছিলেন না। এমনকি ১২৪ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর রাজীব দাস, তাকেও মাস্ক বিহীন কেন্দ্র থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।

এই জায়গা থেকে সরাসরি এই প্রশ্নই উঠছে যে, যেখানে শাসক দল গোটা রাজ্যের ভালো থাকার দায়িত্ব নিয়েছে, রাজ্যবাসীকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেখানে সচেতন করা তাদেরই কর্তব্য সেখানে সেই শাসক দলের অধিকারিকেরাই বা কিভাবে এতটা অসচেতন ভাবে চলাফেরা করেন ? বরং এদিন সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা লক্ষ্য করা গেছে।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading