শীতের শেষ গরম শুরু তবুও মনরোম ঝাড়গ্রামের সীমানা গ্রাম
গ্রাম্য পরিবেশে নস্টালজিয়ার আবির্ভাব: ঝাড়গ্রাম, সীমানা গ্রাম, এবং "চার মূর্তি" শুটিং। সব মিলিয়ে একবার যেতেই পারেন।
নিউজডেস্ক : যারা নিরিবিলি গ্রাম্য পরিবেশ পছন্দ করেন, সুন্দর গ্রাম পছন্দ করেন, তাদের জন্য অবশ্যই সেরা জায়গা ঝাড়গ্রাম, সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের সীমানা গ্রাম কাঁকড়াঝোর। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ গ্রাম্য পরিবেশ সবকিছু মনোরম। রাঙা মাটির পথ, সরিষার খেত, আলপনা আঁকা লালমাটির ঘর মুগ্ধ করে দেয়। এখানকার গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রা অত্যন্ত কঠিন।
যদিও এখন আর শীত নেই , তবুও ভাবাই যেতে পারে। রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা , বেশ মনরোম। হালকা শীতের ছোঁয়ায় যেন এই গ্রাম আর ও মায়াবী হয়ে ওঠে। সকালে বাড়ির উঠানে ঝাড় দেওয়া থেকে শুরু করে শীতের হাত থেকে বাঁচবার জন্য আগুনে হাত-পা সেঁকে নেওয়া এক অদ্ভুত নস্টালজিয়া নিয়ে আসে। জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে আনা, কুলোয় ধান ঝাড়া গ্রাম বাংলার এই পরিবেশগুলি সত্যিই দেখবার মতো। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাড়ির সামনে উঠোনে ধান শুকোতে দেওয়া, অসম্ভব সুন্দর গ্রাম্যপরিবেশের টানে বারবার মন টানে।
এই জঙ্গলেই হয়েছিল “চার মূর্তি” সিনেমার শুটিং। পাখির কাকলির তানে মোহিত হতেই হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পায়ে হেঁটে গ্রাম বেড়ানো এক অনন্য অভিজ্ঞতা।কলকাতা থেকে যদিও খুব একটা বেশি দূরে নয় , শুক্রবার কাজের শেষে বেড়িয়ে পড়ুন রাত কাটিয়ে সারা দিন আনন্দ করুন আবার রাত কাটিয়ে ফিরে আসুন কলকাতা।